মারিও মানজুকিচের গোলে ক্রোয়েশিয়া ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে চলে গেলো ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে একটি করে গোল করেন ইভান পেরিসিচ ও মারিও মানজুকিচ। ফ্রি কিক থেকে ইংল্যান্ডের একমাত্র গোলটি করেন কিয়েরান ট্রিপিয়ের। ১৫ জুলাই ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া।
ইংলিশদল খেলার শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে রেখেছিলো এবং ৫ মিনিটেই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ক্রোয়াটরা আস্তে আস্তে তাদের সামর্থ্য প্রমানে মরিয়া হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে এসে সমতাসূচক গোল করে ক্রোয়েশিয়া। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সুযোগ বুঝে ১০৯ মিনিটে জয়সূচক গোল করে ক্রোয়েশিয়া। ইংলিশদের হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালে চলে যায় ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের ৪ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার ডি-বক্সে ঢোকার মুহূর্তে ডেলে আলিকে ফাউল করে বসেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মডরিচ। গোলপোস্টের ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি কিকে ক্রোয়াটদের দূর্গে আঘাত হানেন, কিয়েরান ট্রিপিয়ের। নকআউট পর্বে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে প্রথম গোল এটি। ২২ মিনিটে ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন গোল ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন। ২৯ মিনিটে এসে আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করে ইংল্যান্ড। এবারও কেনের মিস। এরপর প্রতি আক্রমণে উঠে আসে ক্রোয়েশিয়া। ইংলিশদের ডি বক্সে ভয় ধরিয়ে দেন আন্তে রেবিচ। তাঁর শট আটকে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে প্রথমার্ধ শেষ হয় ইংল্যান্ড ১-০ ক্রোয়েশিয়া স্কোরলাইনে।
সমতায় ফিরতে মরিয়া তখন ক্রোয়েশিয়া। অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে এসে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ইভান পেরিসিচ। সিমে ভরসালিয়োকোর হাওয়ায় ভাসানো ক্রস উঁচুতে উঠে পা ছোঁয়ান পেরিসিচ। ১-১ গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। এর আগে ৬৪ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেন ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। সমতায় ফিরে ক্রোয়েশিয়ার খেলায় গতি আসে। সমতাসূচক গোলের মিনিট দু-এক পর পেরিসিচের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে না এলে ক্রোয়েশিয়া দুই নম্বর গোলটি তখনই পেত। ৮২ মিনিটে এসে আবারও সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। মারিও মানজুকিচের ক্রস থেকে মার্সেলো ব্রোজোভিচের ভলি দুর্দান্তভাবে আটকে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। নির্ধারিত সময়ের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ের খেলাও প্রায় শেষ, আর ১১ মিনিট বাকি। ইংলিশদের চোখেমুখে তখন টাইব্রেকারের ভয়। তখনই জয়সূচক গোলটি করেন মারিও মানজুকিচ। কিছু সময় আগেই বল নিয়ে ডি বক্সে ঢোকার মুহূর্তে পিকফোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে কাতরাচ্ছিলেন মানজুকিচ। সেই মানজুকিচের গোলেই জয় পায় ক্রোয়েশিয়া।
ছবি সূত্র: হেরাল্ড সান।