ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ শুক্রবার ইরানের ১৩ নাগরিক ও এক ডজন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর দেশটির ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটে লেখেন, “ইরান আগুন নিয়ে খেলছে- প্রেসিডেন্ট ওবামা তাদের প্রতি কতোটা দয়ালু ছিলেন তা তারা উপলব্ধি করতে পারেনি। আমি তেমনটি নই!”
এর জবাবে ইরান বলে, ‘একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তির’ কাছ থেকে ‘অনর্থক’ আমেরিকান হুমকিতে তারা নতি স্বীকার করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রধান জন স্মিথ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, “সন্ত্রাসবাদে ইরানের অব্যাহত সমর্থন এবং এর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়ন ওই অঞ্চল, বিশ্বব্যাপী আমাদের অংশীদার এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি। ” যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েকটি সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন ও চীনভিত্তিক। ইরানের ইসলামিক রিপাবলিক রেভোল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরাও এর আওতায় আছেন।
গত রোববার মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় ইরান। এর মধ্য দিয়ে তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত লংঘন করেছে বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় হোয়াইট হাউস। প্রতিক্রিয়ায় বুধবার তেহরান বলে, নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য চালানো এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তারা পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গ করেনি।
তবে ইরানের এ পরীক্ষাকে ‘উস্কানি’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা করেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। উস্কানির অভিযোগে ইরানকে নজরদারিতে রাখারও ঘোষণা দিন তিনি।
ট্রাম্পও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ না করে বলেন, সব বিকল্পই হাতে আছে।
এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে ইরানে অনুষ্ঠেয় একটি প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের কুস্তিগিরদের নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সপ্তাহের মাথায় গত ২৭ জানুয়ারি ইরানসহ সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের এই নিষেধাজ্ঞা বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়।