জাপানের আত্মরক্ষা নৌ বাহিনীর একজন সাবেক নৌ বহরের অধিনায়ক মাকোতো ইয়ামাযাকি, আজ উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার মুসুদান ক্ষেপণাস্ত্র বলে অনুমান করছেন। তিনি, এই নিক্ষেপ সফল ছিল বলে উল্লেখ করেন। মিঃ ইয়ামাযাকি বলেন যে, পিয়ংইয়ং লফটেড বঙ্কিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যাতে সাধারণ নিক্ষেপের চেয়ে আরও বড়ভাবে বাঁক নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি আরও উঁচুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
তিনি, একটি মুসুদান ক্ষেপণাস্ত্র স্বাভাবিক কোণে নিক্ষেপ করা হলে এটি ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশী দূরত্বে পৌঁছাতে সক্ষম হয় বলে জানান। মিঃ ইয়ামাযাকি বলেন যে, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন থেকে এগুলোর উড্ডয়নের দূরত্ব দৃঢ়ভাবে সম্প্রসারিত হয়ে চলার বিষয় প্রতীয়মান হয়। তিনি বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তি উন্নত হয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, দেশটি মাত্র ৬শ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ড আরম্ভ করে।
তিনি, উত্তর কোরিয়া হাওয়াই পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারে বলে উল্লেখ করেন। তিনি এও বলেন যে, যদি তাই হয় তাহলে সেটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে যথেষ্ট মারাত্মক হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। মিঃ ইয়ামাযাকি, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির মোকাবিলা করতে জাপানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে জোর দিয়ে উল্লেখ করেন।