পিয়ংইয়ংয়ের এ অস্ত্র হুমকি বাড়তে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আগ বাড়িয়ে সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। টিলারসন বলেন, সামরিক হামলার এ বিকল্প হাতে আছে। উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচি যদি এ পন্থা প্রয়োগের পর্যায়ে পৌঁছে তবে তা করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় টিলারসন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন পরিসরে বেশকিছু কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পদক্ষেপ খতিয়ে দেখছে।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের বিষয়টিও সমর্থন করেন। এ পদক্ষেপে চীন নাখোশ হলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে উত্তর কোরিয়াকে মোকবেলায় এ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী অসামরিক এলাকা পরিদর্শন করার পর টিলারসন উত্তর কোরিয়া নিয়ে কথা বলেন। তিনি জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। সেখানে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ারে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মর্সূচির উন্নয়ন থামানোর ২০ বছরের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক হামলার সম্ভাবনা আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমরা অবশ্যই কোনও সামরিক সংঘাতে জড়াতে চাই না। কিন্তু তারা (উত্তর কোরিয়া) যদি তাদের অস্ত্র কর্মসূচির হুমকি বাড়াতেই থাকে এবং এটি যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার হয়ে পড়ে, তাহলে সে বিকল্পপথ খোলা আছে।”
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি কয়েকবছরে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর দ্বারপ্রান্তে বলেও জানিয়েছে।