যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর জর্জ ওসবর্ন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্নের সিদ্ধান্তে ব্রিটেনের শক্তি খর্ব হয়নি। ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার সামর্থ্য ব্রিটেনের আছে। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, এখনও তাদের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, এই মুহূর্তে ব্রিটেনের জরুরি তহবিলের প্রয়োজন নেই।
তবে দেশের অর্থনীতির সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বীকার করেন ওসবর্ন। এজন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা বিচক্ষণতার পরিচয় হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ব্রেক্সিটের পর থেকে শেয়ার বাজারে ধ্বস, পাউন্ডের দরপতনের মতো ঘটনায় সোমবার প্রথম মুখ খুললেন ইউকে চ্যান্সেলর। যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোটে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সাথে কথা বলার পর তিনি এই মন্তব্য করেন। রোববার ওলাঁদ জানান, ইইউ জোট থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী বাধা দূর করতে তারা কাজ করবেন। এ বিষয়ে দুজন অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন বলেও জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ইইউ জোট আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে সোমবার বার্লিনে ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ফ্রান্স, জার্মান, ইতালির রাষ্ট্র প্রধানরা।
ইউরোপীয়ভুক্ত দেশগুলোর জোটে থাকা না থাকার বিষয়ে গেল ২৩ জুন গণভোটের আয়োজন করে ব্রিটেন। পরদিন ফলাফলে, সামান্য ব্যবধানে ইইউ-তে না থাকার পক্ষ জয়ী হওয়ায় দীর্ঘ ৪৩ বছরের সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। অপরদিকে, এর জেরে দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টিতেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বান-কে পদত্যাগে বাধ্য করার পর দলের প্রধান জেরেমি করবিনের উপর চাপ দিয়েছে দলের অন্য নেতারা। এরই মধ্যে করবিনের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির ছায়া মন্ত্রীসভার ১১ সদস্য পদত্যাগও করেছেন। যদিও পদ ছাড়ার বিষয়ে আগ্রহ তার কমই রয়েছে। প্রয়োজনে অনাস্থাসহ সব ধরনের নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।