এপ্রিলের প্রথমার্ধে সরকারি সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিষয়টি জানানো হয়। প্রায় ৩০ মিনিটের বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে যাবেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। জয়শঙ্কর বলেন, এই সফরে প্রধানত পারস্পরিক স্বার্থ এবং ধাপে ধাপে উন্নয়ন উদ্যোগের পাশাপাশি যোগাযোগ সংযুক্তির বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে।
স্থল সীমান্ত এবং ছিটমহল সমস্যাসহ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার পারস্পরিক সমাধানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য যদি ভালো হয়, আলোচনার মাধ্যমে আমরা যেকোন সমস্যার সমাধান করতে পারবো। শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণের জন্য অন্যান্য খাতে সহযোগিতা জোরদার হওয়ায় এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ সংযুক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বর্তমানে স্থবির সার্কের প্রসঙ্গ তুলে ধরায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটি ডুবে যেতে দেবো না।’ বিবিআইএন মটরভেহিকেল চুক্তির ব্যাপারে আলাপকালে শেখ হাসিনা চার দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই উদ্যোগ কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিবিআইএন উদ্যোগ কার্যকর হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্যোগের সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করবো।ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী তার দেশ বাংলাদেশে আরো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন বাংলাদেশ সফর করেছেন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর চূড়ান্ত করতে এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করতে দুইদিনের সফরে জয়শঙ্কর বাংলাদেশে আসেন।
সূত্র : বাসস