সীমিত ওভারের ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে পালের গোদা হয়ে আর থাকতে চান না তিনি। প্রায় দুই বছর আগে ছেড়েছেন টেস্ট অধিনায়কত্ব। এবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিলেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে এবং উইকেটের পিছনে আগের মতোই থাকবেন ‘কুল ম্যান’ ধোনি। কারণ, ৩৫ বছর বয়সী ধোনি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলার আভাস দিয়েছেন।
বুধবার ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ধোনির অধিনায়কের পদ ছেড়ে সরে দাঁড়ানোর কথা জানায়।
তিন সংস্করণেই ভারতের ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছে তার অধীনেই। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে আগেভাগে বিদায়ের পর নেতৃত্ব ছাড়েন রাহুল দ্রাবিড়। তবে পরের বিশ্বকাপের জন্য দলকে প্রস্তুত করেন ধোনি। সফলতাও পায় ভারত। ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে জিতে নেয় ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। তার আগেই ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে তার নেতৃত্বই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ভারতকে ৭২টি টি-টুয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে ৪১টিতে জয় পান ধোনি; হারের মুখ দেখেন ২৮টিতে। ২০০৭ সালে ভারতকে ওয়ার্ল্ড টি-টুয়েন্টির শিরোপা জেতানোর পর ২০১১ সালে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন ধোনি। এছাড়া ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতে টিম ইন্ডিয়া।
এরপর ২০০৮ সালে টেস্টের অধিনায়কত্ব পান ধোনি। তার নেতৃত্বে আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষে পৌঁছেছিল ভারত। তবে ৬ বছরের যাত্রায় বিরতি দেন তিনি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের মধ্যেই হঠাৎ করেই অবসর নেন ধোনি। তার আগে ৬০টি টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। এর মধ্যে ২৭ ম্যাচে জয় ছিনিয়ে আনে তার দল। আর কোনো ভারতীয় অধিনায়কের ঝুলিতে এমন সফলতা নেই। টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১টি জয় এনে দেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ওয়ানডেতে ১৯৯ ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দেন ধোনি। এর মধ্যে ১১০টি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় তার দল, হারে ৭৪টিতে। টাই হয় ৪ ম্যাচ, পরিত্যক্ত ১১টি। মোট ৭২টি টি-টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দেন ধোনি। এর মধ্যে ৪১টিতে জিতে ভারত। ২৮টিতে হারে তার দল। একটি ম্যাচ টাই ও দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
এত সফলতার পরও গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল থেকে ভারতের বিদায়ের পর ধোনির আসন কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যায়। তার অবসরের বিষয়ে কানাঘুষা শোনা যায়। এদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারি পুনেতে শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। আগামী শুক্রবার মুম্বাইয়ে দল নির্বাচনের জন্য বসবেন দেশটির নির্বাচকরা।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ক্রিক ইনফো।