কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। ১০ মার্চ শুক্রবার ভোর থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ৩নং সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়নি। ফলে এসব পর্যটক ফিরতে পারছে না। তবে আটকাপড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। সেজন্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৩নং সতর্ক সংকেত বলবৎ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ এলসিটি কুতুবদিয়ার ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজ জানান, প্রতিদিনই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে এলসিটি কুতুবদিয়া, এমভি বাঙালি, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ড্রাইনিং অ্যান্ড ক্রুজ, গ্রীন লাইন, বে-ক্রুজ ও এলসিটি কাজল পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেনি। ফলে যাত্রীদের টিকেটের টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাদের যাতে খাদ্যসংকট ও থাকাসহ কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, তা খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কমান্ডার সাব লেফটেনেন্ট মোহাম্মদ হাশেম জানান, সেন্টমার্টিনে বিভিন্ন হোটেলে-মোটেলে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক অটকা পড়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল করতে না পারায় তারা টেকনাফ ফিরতে পারছেন না। তবে যাদের বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের স্পিডবোটে করে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীরদ্বীপ পৌঁছে দেওয়া হবে। টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, দূর্যোগপূণ আবহাওয়ার কারণে নৌ রুটে জাহাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তারা সবাই নিরাপদে রয়েছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচল পুনরায় চালু করে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।