দুইশ বছরের পুরানো নাজিমউদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দীদের কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বন্দী স্থানান্তর শুরু হয়েছে। এ জন্য মহাসড়কে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কারা সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত চার দফায় ৩২টি প্রিজন ভ্যানে করে বন্দিদের নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতি বহরে বন্দীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের আটটি গাড়ি থাকছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬ হাজারেরও বেশি বন্দী রয়েছে। শুক্র ও শনিবার তাদেরকে পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে।
নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসান সাংবাদিকদের জানান, দেশের ইতিহাসে একসাথে এতো বন্দী স্থানান্তর করা হয়নি। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি আরও জানান দেশের সার্বিক পরিস্থিতির অবস্থা মাথায় রেখে যতটুকু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ততটুকু নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। মহানগর পুলিশ ছাড়াও পুলিশের একাধিক ইউনিট এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাব নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। ইতোমধ্যে কারাগারের দাপ্তরিক কাজ কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে নতুন কারাগারের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। নাজিমউদ্দিন রোডের ১৭ একর জমিতে ১৭৮৮ সালে গড়ে ওঠা পুরোনো কারাগার ভবনটিতে বন্দী ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৮২৬ জন। তবে বর্তমানে সেখানে আছেন ৬ হাজারের বেশি।
কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারটি নির্মিত হয়েছে ১৯৪ একর জমির ওপর। এখানকার ধারণক্ষমতা ৫০০০। তবে ৮ হাজারের মতো বন্দী সেখানে থাকতে পারবেন।