গ্রামীণ অর্থনীতির দুর্দশা নিরসনে কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধি এ মুহূর্তে ভারত সরকারের অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। অথচ এমন একটি গুরুতর সময় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ২৬০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রফতানির বাজার হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটি। গুণগত মানদণ্ড লঙ্ঘনের কারণে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হ্রাস করছে দেশ দুটি। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
প্রতি বছর ৪ হাজার কোটি ডলারের কৃষিপণ্য রফতানি করে থাকে ভারত। এর মধ্যে সৌদি আরব ও ইউএই প্রত্যেকের ১৩০ কোটি ডলার করে অবদান রয়েছে। যার মধ্যে এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রডিউস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এপিইডিএ) নিবন্ধিত পণ্যের ৫০ শতাংশ অবদান রয়েছে।
এর বাইরেও ভারত বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য অঞ্চলটিতে রফতানি করে থাকে। যার ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্যই ভারতীয় কৃষিপণ্য রফতানির বৃহত্তম গন্তব্যস্থলে পরিণত হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় কৃষিপণ্যে, বিশেষত ঢেঁড়স ও কাঁচামরিচের মতো সবজিতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে অধিক মাত্রায় কীটনাশক অবশিষ্ট থাকার বিষয়টি ভারত সরকারকে অবহিত করেছে সৌদি আরব ও ইউএইর সরকার। এসব কারণে ভারতীয় কৃষিপণ্য আমদানি কমিয়ে দিচ্ছে ধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ফলে গুণগত মান নিয়ে খুঁতখুঁতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের আমদানিতেও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এ পরিস্থিতি ভারত সরকারের কৃষিপণ্য রফতানি জোরদার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এপিইডিএর মহাব্যবস্থাপক ইউ কে ভাটস বলেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত বহু পণ্য দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির খাদ্য মানদণ্ড ও নিরাপদতার বিধিবিধানগুলো লঙ্ঘন করেছে। ইউএইতে খাদ্যপণ্য রফতানিকারকদের প্রতি দেশটির বিধিবদ্ধ খাদ্যনিরাপদতা এবং মানদণ্ড বিধিবিধান অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এসব বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যাত হওয়ার হার কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। যাতে ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস এবং ইউএইর নেতৃস্থানীয় খাদ্য রফতানিকারক হিসেবে নিজেদের অবস্থান ফিরে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ইউএইতে শীর্ষ খাদ্যপণ্য রফতানিকারক দেশ ভারত। ইউএইর খাদ্য চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ আসে দক্ষিণ এশীয় দেশটি থেকে। ইউএইর পরই ভারতীয় খাদ্যপণ্যের শীর্ষ আমদানিকারকদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও ইতালি।