ঢাকা ডেস্ক: বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে নাশকতা ঠেকাতে মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছিল, সেভাবে সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা বন্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “যারা সত্যিকারের ধর্মে বিশ্বাসী, সবাইকে আহ্বান জানাব, তাদের পরিবারের কোনো সদস্য জঙ্গিবাদের পথে যাচ্ছে কি না, সেটা দেখাও তাদের কর্তব্য। মানুষের মধ্যে এই চেতনাটা জাগ্রত করতে হবে।”
সাম্প্রতিক তিন দেশ সফরের অর্জন তুলে ধরতে বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় পুলিশের এক কর্মকর্তার স্ত্রীসহ কয়েকজন হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হন, যেসব হামলার ধরন ইতোপূর্বেকার জঙ্গি হামলার মতোই।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ‘ভাবমূর্তি নষ্ট’ এবং ‘অগ্রগতি ব্যাহত করার জন্যই’ একের পর এক গুপ্তহত্যা ঘটানো হচ্ছে। “বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, যারা তা চায়নি, তাদেরই একটা নীল নকশা এটা। সেই নীল নকশা তারা কায়েম করার চেষ্টা করে যাচ্ছ।” বিভিন্ন নামে হলেও হত্যাকাণ্ডের প্রক্রিয়ায় একই রকম মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা প্রকাশ্য দিবালোকে পুড়িয়ে মানুষ মারতে পারে, তারাই আছে এর সঙ্গে।
“প্রকাশ্যে আগে মানুষ হত্যা করতে যেয়ে তারা দেখল, জনগণের রুদ্ররোষের শিকার হন। এখন তারা কৌশল পরিবর্তন করে গুপ্তহত্যা শুরু করেছে। এমন এমন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যাতে বিশ্বব্যাপী একটা তোলপাড় শুরু হয়, ভয়ভীতি সৃষ্টি হয়।” গত এক বছরে দুজন বিদেশি ছাড়াও আক্রান্ত হন লেখক,প্রকাশক, ব্লগার, সমকামী অধিকারকর্মী, মুসলিমদের শিয়া ও আহমদিয়া সম্প্রদায়, হিন্দু পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু ও খ্রিস্টান ধর্মযাজক। এই গুপ্তহত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে, তারা কোথায় বসে পরিকল্পনা করে- সেই তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরবরাহ করতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।