গুয়াতেমালায় এক সরকারি আশ্রমে আগুনে পুড়ে ১৯ জন কিশোরী মারা গেছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা জানতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পুলিশের ভাষ্যমতে, আশ্রমের বাসিন্দাদেরই কেউ হয়ত আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভবনের বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের একজনও সেরকমই জানিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার ওই আশ্রমটিতে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। তারপরেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
গুয়াতেমালা সিটির দক্ষিণ-পূর্বের শহর সান হোসে পিনুলার এই সরকারি আশ্রমটির ধারণক্ষমতা ৪০০ জনের হলেও গত বছর সেখানে প্রায় ৭০০ মেয়েশিশু ও কিশোরী ছিল।
মঙ্গলবার সেখানে দাঙ্গার ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সে সময় আশ্রমের ভেতরে শিশুদের ওপরও নিপীড়নের অভিযোগ শোনা যায়। সাংবাদিকদের কাছে আশ্রমের ছোট ছোট বাসিন্দারা অভিযোগ করে, তাদের নিয়মিত পেটানো এবং যৌন নিপীড়ন করা হত। কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ৬০ জন শিশু আশ্রম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া শিশুদের কেউ কেউ বলেছে, দাঙ্গার পর আশ্রমে কর্তৃপক্ষের হুমকি ও শাস্তির ভয়ে পালিয়েছে তারা।
নির্যাতন ও পাচারের শিকার এবং পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য তৈরি এই আশ্রমটিতে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারে একজন। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আশ্রমটিকে কিশোর সংশোধনকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা হতো।
সূত্র : বিবিসি।