জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদ মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন। ট্রেনে করে দিনাজপুর যাওয়ার পথে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। শুটিং করতে মিজু আহমেদ সোমবার রাতে দিনাজপুরে যাচ্ছিলেন। চিত্রনির্মাতা শাহীন সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়ার পরিচালনায় ‘মানুষ কেন অমানুষ’ নামের একটি ছবির কাজ করতে দিনাজপুর যাওয়ার জন্য সোমবার রাত ৯টার দিকে কমলাপুর থেকে ট্রেনে রওনা দেন। পথিমধ্যে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। বিমানবন্দর স্টেশনের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিজু আহমেদের মোহাম্মদপুরের বাসায় গোসল করানো শেষে লাশ এখন পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় মিজু আহমেদের বাসভবনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ নেয়া হবে তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। সেখানে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান।
মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম নাম হচ্ছে মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সাথে অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মিজু আহমেদ। পরবর্তী কয়েক বছরে ঢালিউডে অন্যতম সেরা একজন খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়াও নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস মুভিজের ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।
তার অভিনীত ছবিগুলো মধ্যে হচ্ছে মহানগর (১৯৮১), স্যারেন্ডার (১৯৮৭), চাকর (১৯৯২), সোলেমান ডাঙ্গা (১৯৯২), ত্যাগ (১৯৯৩), বশিরা (১৯৯৬), আজকের সন্ত্রাসী (১৯৯৬), হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭), কুলি (১৯৯৭), লাঠি (১৯৯৯), লাল বাদশা (১৯৯৯), গুন্ডা নাম্বার ওয়ান (২০০০), ঝড় (২০০০), কষ্ট (২০০০), ওদের ধর (২০০২), ইতিহাস (২০০২), ভাইয়া (২০০২), হিংসা প্রতিহিংসা (২০০৩), বিগ বস (২০০৩), আজকের সমাজ (২০০৪), মহিলা হোস্টেল (২০০৪), ভন্ড ওঝা (২০০৬) ইত্যাদি।
‘ত্রাস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা খল অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মিজু আহমেদ।
সূত্র: ইন্টারনেট