জাপানে জনসংখ্যা ও জনবল দিন দিন কমছে কিন্তু বাংলাদেশে জনশক্তির প্রাচুর্য রয়েছে। তাই জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ জনবল প্রেরণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কার্যকর নীতি – কৌশল, সুদক্ষ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণের মাধ্যমে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
জাপানে জনশক্তি প্রেরণের সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ (২৩ অক্টোবর ২০১৮) জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জনশক্তি নিয়োগ ও সরবরাহ খাত সংশ্লিস্ট বেসরকারী কর্মী প্রেরণ সংস্থা, প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে একটি মত বিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘জাপানে কাজ করার জন্য নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাপানী ভাষা ও নিয়ম- শৃঙ্খলার জ্ঞান এবং কর্মঠ হতে হবে।‘ তিনি দেশের সুনাম বজায় রেখে, স্বল্প খরচে এবং সরকারি বিধি-বিধান মেনে দেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি জাপানে আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জাপান সরকারের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করেন।
সভায় এই খাত সংশ্লিস্ট বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা জানান জাপানে আইটি, কেয়ার গিভার, নির্মাণ শিল্প, কৃষি, জাহাজ তৈরী, ওয়েল্ডিং, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ,হোটেল সেবা ইত্যাদি খাতে জনবলের চাহিদা রয়েছে। তাঁরা বেসরকারী পর্যায়ে লোক নিয়োগকে উম্মুক্ত করার অনুরোধ করেন এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা, ধারণা ও নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত তাঁদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রেস রিলিজ
২৩ অক্টোবর ২০১৮, টোকিও
মুহা. শিপলু জামান
দ্বিতীয় সচিব (প্রেস)