জাপানের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি সাকুরাজিমা আগামী ৩০ বছরের মধ্যে বড় ধরণের অগ্নুৎপাত ঘটাবে। আগ্নেয়গিরিটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে একদল বিজ্ঞানী এমন দাবি করেছেন। মঙ্গলবার বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রতিবেদনে জানান, ক্রমেই এটির অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষক দলের প্রধান জেমস হিকি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, সবশেষ ১৯১৪ সালের অগ্নুৎপাতে যে পরিমাণ লাভা উদগিরণ হয় সেই পরিমাণ আবারো জমতে প্রায় ১৩০ বছর সময় লেগে যাবে। সেই হিসেবে সাকুরাজিমায় আবারো বড় ধরনের অগ্নুৎপাত হতে বাকি রয়েছে মাত্র ২৫ বছর।
সবশেষ ১৯১৪ সালে সাকুরাজিমা জেগে ওঠে। সেসময় প্রায় ৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। প্রশান্ত মহাসাগরের জাপানি দ্বীপমালায় প্রায় শতাধিক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ জন্যে এই অঞ্চলকে ‘রিং অব ফায়ার’ নামেও ডাকা হয়। এসব আগ্নেয়গিরির মধ্যে আবার সাকুরাজিমাই বেশি উত্তপ্ত। প্রতিনিয়ত এটি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বছরের বিভিন্ন সময় এটিতে ছোটখাট অগ্নুৎপাতও হয়। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমন অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটে। জাপানের প্রধান ৪টি দ্বীপের মধ্যে অন্যতম কিউশু’তে সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরিটি অবস্থিত। এর মাত্র ৩০ মাইল দূরে সেনদাই পারমাণবিক কেন্দ্রের অবস্থান। এছাড়া, আগ্নেয়গিরিটির কাছেই যে শহরটি রয়েছে তাতে প্রায় ৬ লাখ মানুষের বাস।
জাপানের যে সংস্থা আগ্নেয়গিরিগুলোর উপর নিয়মিত নজর রাখে তাদের হিসেবে সাকুরাজিমাকে ৩ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সংস্থার পূর্বাভাস পদ্ধতিতে ৫ মাত্রা হচ্ছে সর্বোচ্চ। ৩ মাত্রার সতর্কতার ফলে সাধারণ মানুষকে ঐ আগ্নেয়গিরির ধারে কাছে না যেতে হুঁশিয়ার করা হয়।