জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে সংসদের অনির্ধারিত অধিবেশনে আজ দ্বিতীয় দিনের মত পুরনো এক বন্ধুকে পশ্চিম জাপানে একটি পশু চিকিৎসা স্কুল খোলায় সাহায্য করতে নিজের প্রভাব খাটানোর অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। বন্ধু যে অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সেটা তিনি ঠিক কখন জানতে পেরেছিলেন, তা নিয়ে আইন প্রণেতারা প্রধানমন্ত্রীকে জেরা করেন। প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট রেনহো অভিযোগ করেছেন যে মি: আবে গত সোমবার যে সময়ের উল্লেখ করেছেন, সেটা হচ্ছে সংসদে রাখা তাঁর আগের বক্তব্যের পরিপন্থী। মি: আবে বলছেন তাঁর বন্ধু জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার আগে তাঁর আবেদনপত্র জমা দেয়া সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন নি।
প্রধানমন্ত্রী আবে বলেছেন, বন্ধু কত তারিখে আবেদন করেছেন এবং শহর কর্তৃপক্ষ কখন আবেদন করেছে তা জানতে পারার দিন গুলিয়ে ফেলার জন্য তিনি ক্ষমা-প্রার্থী। বিরোধী দলের প্রধান রেনহো অভিযোগ করে বলেছেন যে মি: আবের প্রশাসনের ভেতরের কিছু কিছু লোকজন তাঁদের স্মৃতি হারিয়ে ফেলায় এবং মুখ বন্ধ রাখায় জনগণের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। প্রশাসনের বাইরে কেউ কথা বললে এরা তাঁর উপর চড়াও হচ্ছেন।অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন এরকম সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে স্কুলের পরিচালক প্রতিষ্ঠানকে তারা বিনামূল্যে জমি এবং ভর্তুকি দেবে, যার সবকিছুর মূল্য হচ্ছে হাজার কোটি ডলার।
মি: আবের মন্ত্রীসভার প্রতি সমর্থনের হারে ধ্বস নামার পর সংসদের অনির্ধারিত অধিবেশন শুরু হয়। এই ঘটনা এবং অন্যান্য কেলেঙ্কারির আলোকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে আগামী সপ্তাহে তিনি মন্ত্রীসভায় রদবদল করবেন।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা