প্রবাসের কর্মময় জীবনে সবাই খুঁজে বেড়ায় ছুটির দিনে একটু আনন্দ-বিনোদনের দিনক্ষন আর সেই মাহেন্দ্রক্ষণটির আয়োজন করেছিল সাইতামা বাংলা সোসাইটি, ওয়ারাবী, জাপান । সাইতামা বাংলা সোসাইটির উদ্যোগে গত ৮ অক্টোবর ২০১৭ইং তারিখে দুইটি বড় বাস এবং দুইটি প্রাইভেট কারে সর্বমোট ১১৭ জনকে নিয়ে জাপানের সমুদ্র-সৈকতে(ওআরাই সানবীচ,ইবারাকী প্রিফেকচার,জাপান) একটি জমজমাট পিকনিকের আয়োজন করে । অংশগ্রহনকারী ভাই ভাবীরা যাত্রা এবং ফিরতি পথে বাসের মধ্যে গান-কৌতুক এবং চুটকি পরিবেশনের মাধ্যমে বাস জার্নির ক্লান্তিকে বিন্দুমাত্র অনুভব করতে দেননি, মনে হয়েছে সময়টা নিমিষেই কেটে গেল । পিকনিক স্পটে যাওয়ার পর দুই ঘন্টা ছিল যে যার মত পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধবসহ সমুদ্রের লোনা পানিতে সাঁতার কাটা এবং সমুদ্রের বিরাট-বিরাট ঢেউয়ের মধ্যে নিজের মধ্যকার উন্নাষিক ভাবাবেগে হারিয়ে যাওয়ার ।
এরই মধ্যে বীচের বালির মধ্যে শুরু হয় বিবাহিত-অবিবাহিতদের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ, ভাবীরা স্বামী এবং দেবরদের তুমুল করতালি এবং হর্ষ ধ্বনী দিয়ে ম্যাচটিকে আকর্ষনীয় করে তুলেন, তাছাড়া ভাবীদের বালিশ খেলা এবং হাড়ি ভাঙ্গা খেলাতেও স্বামী, দেবর এবং বাচ্চারা সমর্থন যুগিয়ে পরিবেশটাকে বেশ উপভোগ্য এবং প্রানবন্ত করে তুলেন । এছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক ইভেন্টে সবাই শিশুদের তুমুল করতালি দিয়ে উৎসাহিত করেন । শিশুদের শুভেচ্ছা উপহারসহ প্রত্যেকটি ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আয়োজক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
এরই মধ্যে পেট মহাশয়ের টানে সবাই হাজির হন রহমান ভাইয়ের বিশাল খাবারের আয়োজন স্থলে, তবে উনাকে সবার কাছে কিছুটা সময় চেয়েই নিতে হয়েছে, কারন আইটেম ছিল বেশী, তাছাড়া অনেকটা একক হাতেই রান্না করতে হয়েছে বীফ-কারি, মাটন-কারি, সবজি, ঢাল-কারি, ভর্তা, সালাদ এবং বাসমতি চালের পোলাউ, তাছাড়া যাত্রাপথে সকালের নাস্তায় ছিল চিকেন শর্মা এবং ফিরতি পথে বিকেলে ছিল সু-স্বাদু ভেজিটেবল সিঙ্গারা ।
মোটকথা আনন্দের সময় যে নিমিষেই কেটে যায়, তা সেইদিন কমবেশী সবাই অনুভব করেছেন । বিদায় বেলায় সুন্দর একটা দিন উপহার দেয়ার জন্য সবাই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ-বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুরোধ রাখেন । সর্বশেষে আয়োজকবৃন্দ সাইতামা বাংলা সোসাইটির পক্ষ থেকে অংশগ্রহনকারী সবাইকে তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং ভবিষ্যতে জাপানের ছুটির সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশ এবং জাপানের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি কালচারাল দিবসগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করে দিনের কর্মসূচী শেষ করেন ।
মোঃ কাউছার হোসেন-আক্কাস