এক জীবন বীমা কোম্পানি ৩৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবটকে স্থান দিয়েছে। ফুকোকু মিউচুয়াল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি চলতি মাসের শুরু থেকে চূড়ান্তভাবে রোবটকে কাজে লাগিয়ে এক-তৃতীয়াংশ খরচ কমানোর কথা জানিয়েছে। যদিও জাপানের রীতি অনুযায়ী বছরের যেকোন সময় কর্মচারী ছাঁটাই করতে পারে না। আর সেই জন্য চলতি বছরে মার্চে ৩৪ কর্মীর সাথে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা এসেছে। মানব সম্পদ ব্যবহার করে কোম্পানিটি লাভের মুখ দেখলেও সম্প্রতি ব্যয়বৃদ্ধি রোধ করার পরিকল্পনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রায় ২০০শ’ মিলিয়ন জাপানি মুদ্রা খরচ করে জাপানের আইবিএমের সহায়তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই রোবটগুলোকে ফুকোকু কোম্পানি কাজে বসিয়েছে। যার বার্ষিক ব্যবস্থাপনা খরচ দাঁড়াবে ১৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন। ফলে ৩৪ কর্মচারীর বেতন বাবদ বার্ষিক ১৪০ মিলিয়ন জাপানি মুদ্রা উদ্বৃত্ত রাখা সম্ভব হবে। ফুকোকু কোম্পানিতে ১৩১ জন কর্মী কয়েক দশক ধরে কাজ করে আসছেন। কোম্পানিটি বলছে, প্রায়ই কর্মচারীদের ভুলের খেসারত দিতে হয় কোম্পানিকে। আর এই রোবট স্থাপনের ফলে বিভিন্ন কাজে দক্ষতা কয়েকগুণ বাড়বে।
একই পদ্ধতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছে জাপানের ডাইচি ও নিপ্পন নামক দুই জীবনবীমা কোম্পানি। এর আগে দেশটির এক রেস্তোরাঁয় সর্বপ্রথম রোবট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তি বিশ্বের উৎকর্ষের সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবটের চাহিদা বাড়বে বলে কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন। আর রোবট ব্যবহারে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জাপান।
দেশটির সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২০ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক খেলায় বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃত্রিম রোবট ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম রোবটকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসায়। তরুবো কুন নামের এক রোবট ৮০ পয়েন্ট পায় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্ক্রোরের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেশি।