গত ২০শে জুন বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির এবং ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১ জুলাই থেকে সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তবে নতুন এই ঋণ হার শুধুমাত্র সম্পূর্ণ নতুন ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অতীতে যারা উচ্চ সুদে ঋণ নিয়েছেন সেগুলো এর আওতায় আসবে না। গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল)-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন ‘ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (বিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানায় যে, আগামী ১ জুলাই থেকে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আমানতের সুদের হার হবে ৬ শতাংশ এবং ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের বেশি হবে না। তবে আমানতের সুদের হার প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এই ঘোষণার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এটাকে ‘বেশ ভাল’ বলে মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হচ্ছে একমাত্র ব্যাংক যাদের আমি ইন্সট্রাকশন দিতে পারি। তাদের আমানতের সুদের হার সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’ ঋণের সুদের হার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোকে বলেছি যে, ঋণের সুদের হার যদি একটু নামিয়ে আনা যায় তাহলে ভাল হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছি, কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। ঋণের সুদের হার কত হবে এটা তারাই নির্ধারণ করবে।’
‘এটা বাজারের ওপর কী প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা বাজারে ঋণের সুদের ওপর প্রভাব ফেলবে। এটা সর্বনিম্ন ৯ শতাংশে নেমে আসবে এবং ১০ শতাংশের বেশি হবে না।’
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আসবে। ফ্রেশ ঋণের ক্ষেত্রে নতুন এই হার প্রযোজ্য হবে।’‘কিন্তু অতীতে যারা উচ্চ সুদে ঋণ নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কী হবে কিংবা এটা নিয়ে নতুন কোন অস্থিরতার সৃষ্টি হবে কি না’ এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর কোন মন্তব্য করেন নি। তবে সঙ্গে থাকা ডেপুটি গভর্নর বলেন, ‘বৈঠকে এটা নিয়ে বা অত ডিটেলস কোন আলোচনা হয়নি। তবে বিষয়টি যখন অপারেশনে আসবে, তখন কোন খাতে ঋণের হার কত হবে, সেটা ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঠিক করবে। যদি তারা এক্ষেত্রে ফেল করে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের গাইডলাইন দিয়ে সহায়তা দেবে।’
নিউজ ডেষ্ক নিহন বাংলা ডট কম