জাপানের টোকিওতে একটি মদের বারে একজন বন্দুকধারীর গুলিতে এক দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো একজন। হামলার শিকার দুজনই ষাটোর্ধ্ব দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। সন্দেহভাজন হামলাকারীর বড় কোন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে যোগসূত্র আছে বলে ধারণা করছে তদন্ত কর্মকর্তারা। খবর : জাপানটুডে
পুলিশ বলছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারাওকে বার থেকে একটি ফোন কল পায় তারা। ওই বারের এক কর্মী তাদের ফোনে তাদের জানায় সেখানে এক সন্ত্রাসী গুলি চালিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন রক্তাক্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকটিকে পুলিশ ভবনের চতুর্থ তলায় উপুর করে শোয়া অবস্থায় পেয়েছে। তার শরীরে তিনটি গুলির আঘাত রয়েছে। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে এসে হামলা চালান। হামলাকারী হতাহতদের লক্ষ্য করে একাধিকবার গুলি ছোঁড়ে। পরিকল্পিত এই হামলার পর তিনি পালিয়ে যান।
কারাওকে বারটি কাবুকিছোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত, সেখান থেকে মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে কেআর সিংজুকু স্টেশন। টোকিওর এই এলাকাটি বিদেশী পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এর সূত্র ধরে এখানে বেশ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনীও গড়ে উঠেছে।
পুলিশের ধারণা, নিহতকে পঞ্চম তলার কোন একটি কক্ষে গুলি করা হয়েছে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন, শেষ পর্যন্ত চতুর্থ তলা পর্যন্ত আসতে পেরেছিলেন। ঘটনাস্থলে গুলির খোসা পাওয়া গেলেও ব্যবহৃত বন্দুকটি পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর ওই বার এবং আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কোনদিকে গেছে তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।