বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আজ ১৩ অক্টোবর ২০১৭, শুক্রবার বেলা ১০ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত রাজধানীর খামাবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে তিন টাকায় ডিম বিক্রি করে বিপিআইসিসি ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। বিপিআইসিসির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ টাকায় এক হালি ডিম বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয় । খুব সকাল থেকে জড়ো হওয়া ক্রেতাদের উপচে পড়া জমায়েতের চাপে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। তবে বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণ পরেই হট্টগোলের দরুণ বিক্রি বন্ধ হয়। বাজার মূল্যের চেয়ে তিনগুন সস্তায় ডিম কিনতে এসে হাজার হাজার ডিমপ্রেমী ক্রেতা ডিম না পেয়ে ক্ষুব্ধ মনে ফিরে যান।
বিপিআইসিসি’র সদস্য বিশ্বজিত রায় বলেন, আজ আর ডিম বিক্রি হবে না। ভবিষ্যতে আমরা আবারও বড় পরিসরে ডিম বিক্রির এরকম আয়োজন করবো। ক্রেতাদেরকে এই স্থান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, আমরা কল্পনাও করি নি এত মানুষ আসবে। ভেবেছিলাম টিসিবির ট্রাকের মতো অল্প মানুষ আসবে। এই ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিলাম।
গত মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান জানান, সারাদেশে ডিম দিবস বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিন টাকায় ডিম বিক্রির পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত ও এতিম শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে ডিম বিতরণ করা হবে।
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ডিম কিনতে আসেন সব বয়সী ক্রেতারা। কিন্তু সবাই ডিম কিনতে পারে নি। বরং ভিড়ের মধ্যে পুলিশের পিটুনি খেয়ে ফিরেছেন! বিক্ষুব্ধ ক্রেতারা জানান, আয়োজকরা কি ডিম না দিয়ে মানুষজনকে পেটাতে এই আয়োজন করেছেন? প্রশাসন তাদের পুলিশ দিয়ে মার খাওয়ালো কেন? ডিম তো পেলামই না, উল্টো মার খেলাম।
অন্যদিকে, আগ্রহী ক্রেতাদের ডিম দিতে না পেরেও কার্যক্রম সফল হয়েছে বলে দাবি করেন আয়োজকরা। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, এটাকে ব্যর্থতা বলব না, আমরা সফল। এক লাখ ডিম বিক্রির প্রস্তুতি ছিল বলে জানান তিনি।
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন