দেখে মনে হতে পারে সিনেমার শুটিং অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য হাস্যকর কিছু বানানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু আদতে তা নয় !
ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে চলছে গাড়ি। তার পাশেই হামাগুড়ি দিচ্ছেন কালো কোট পরা বেশ কয়েক জন নারী। তাদের একদম সামনে একটা বড় পতাকা হাতে নিয়ে হেঁটে চলেছেন একজন পুরুষ। পতাকায় লেখা বেশ কয়েক জনের নাম।
পেছনে ওই হামাগুড়ির দৃশ্যের ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করছেন আরও দু’জন পুরুষ। পথচারীরা থমকে দাড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ভিডিও তুলে রাখছেন। সম্প্রতি পূর্ব চীনের এক শহরে দেখা গেছে এমনই অদ্ভুত দৃশ্য।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, টার্গেট পূরণ করতে না পারায় এক চীনা প্রসাধন সংস্থা এমনভাবেই শাস্তি দিয়েছে তাদের অধীনস্থ কর্মচারীদের। সংস্থার এক পুরুষ কর্মী শাস্তি পাওয়া নারীদের নামের তালিকা নিয়ে সামনে হাঁটছিলেন। পেছনে গোটা ঘটনার ভিডিও তুলছিলেন ওই সংস্থারই আরও দুই পুরুষ কর্মী।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তারা এমনটা করছিলেন বলে জানা গেছে। পুলিশে খবর গেলে তারা এসেই বিষয়টি বন্ধ করে দেয়।
ভিডিও দেখতে: https://www.youtube.com/watch?v=jL6wtit44gw
গত কয়েক দিনে এই আজব শাস্তি নিয়ে চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রসাধন সংস্থার এই অপমানসূচক ব্যবহারের বিরুদ্ধে তো বটেই, যে নারীরা হামাগুড়ি দিয়েছেন, তাদের সমালোচনাতেও মুখ খুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘অর্থের জন্য মানুষ নিজের মান-সম্মান বিসর্জন দিয়ে এতটাও নিচে নামতে পারে?’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘এখনো কেন চাকরি করছেন ওই সংস্থায়, যারা মানুষকে তার ন্যায্য সম্মানটুকু দিতে পারে না?’ নিন্দার মুখে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে সংস্থাটিকে।
চীনের আইন অনুযায়ী, কোনো সংস্থাই তার কর্মীদের অপমানসূচক শাস্তি দিতে পারে না। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ সংস্থাই সেই নিয়ম মানে না।
গত মাসেই কর্মীদের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে এক সেলুন মালিক এমনই শাস্তি দিয়েছিলেন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, নিজের গালে নিজেরাই একশো বার করে চড় মারছেন ওই কর্মীরা।