আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহে রাজা ইরান৷বিশ্ব বাজারে যদি ইরান তেল রপ্তানি করা বন্ধ করে দেয় তাহলে সেই ঘাটতি কোনো দেশই পূরণ করতে পারবে না৷কিন্তু বিশ্ব বাজারে ইরানের একচেটিয়া এই তেল ব্যবসার আধিপত্য হ্রাস করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের ছোটো ছেটো সংস্থাগুলোর সাথে তারা বৈঠক করছে৷তবে আমেরিকার এই উদ্দেশ্য সফল হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷
রপ্তানিকারক দেশগুলির সংস্থা ওপেক’র ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর আরদাবিলি জানান, আমেরিকা ইরানের উপর তেল রপ্তানি বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে৷বিশ্বের অন্য কোনও তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানের মতো তেল রপ্তানি করতে পারবে না৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন৷পাশাপাশি তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন৷ইরানের তেল রপ্তানির পরিমাণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার নির্দেশও দেন৷
ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে এখনও দুই মাস দেড়ি আছে৷সময় যত এগিয়ে আসছে বিশ্বে তেলের ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ গত সপ্তাহে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৮০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল৷ এত কিছুর মধ্যে আমেরিকা কিছু পরিমাণ তেল মজুত রেখেছিল৷ সেই মজুত রাখা তেলের থেকে ১০ লাখ ব্যারেল তেল আন্তর্জাতিক বাজারে দেওয়া হবে বলে সিধান্ত নেয় তারা৷
এদিকে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা ঘোষণা করে, মার্কিনের ইরানের উপর এই তেল নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারে অঘটন সৃষ্টি করতে পারে৷এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে বর্তমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই ধরে রাখা সম্ভব হবে না৷
আমেরিকার জ্বালানিমন্ত্রী রিক প্যারি জানান, সৌদি আরব ও কুয়েতের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ঝামেলা চলছে তা খুব শিগগির ঠিক হয়ে যাবে৷ তারপর এই দুই দেশ তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করবে৷ ফলে বিশ্ব বাজারে আর তেলের ঘাটতি থাকবে না৷এখন দেখার বিষয় তেল আমদানি করতে আমেরিকা কতটুকু সফল হয়৷
Check Also
১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন জাপানি নভোচারী ফুরুকাওয়া
জাপানের নভোচারী ফুরুকাওয়া সাতোশির দ্রুত হলে ১৫ই আগষ্ট আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দ্বিতীয় ভ্রমণ নির্ধারণ করা …