টানা তিন ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই হাতছাড়া করেছিল শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে লঙ্কানদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান-পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেনি সফরকারীরা। তবে দারুণ লড়লেও হারই সঙ্গী হয় শ্রীলঙ্কার। মঙ্গলবার রাতে উপুল থারাঙ্গার দলকে ৪০ রানে হারিয়ে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ দিকে পথ হারিয়ে ৪৮.১ ওভারে ৩২৭ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
৩৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিল শ্রীলঙ্কা। থারাঙ্গা, নিরোশান দিকভেলা, সান্দুক বিরাক্কডি ও কুশল মেন্ডিসদের দৃঢ়তায় সমান তালেই লড়ছিল সফরকারীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় ১০০ রান যেখানে আসে ১৫.৩ ওভারে, সেখানে মাত্র ৯.৪ ওভারেই দলীয় রানের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় শ্রীলঙ্কার। দিকভেলা ও থারাঙ্গা মিলে ৯৭ বলে ১৩৯ রানের অসাধারণ জুটি গড়লে জয়ের ভিত পায় লঙ্কানরা। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০ রান করতে যেখানে খেলেছিল ৩১.৫ ওভার, সেখানে শ্রীলঙ্কার লাগে ২৫.৫ ওভার। স্বাগতিকদের আগে ৩০০ রানের কোটাও স্পর্শ করে লঙ্কানরা। ৩০০ রান করতে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলতে হয়েছিল ৪৫.২ ওভার। কিন্তু ৪৩.১ ওভারেই সেই কোটা স্পর্শ করে সফরকারী দল।
এমন দুর্দান্ত খেলেও শেষ দিকে পথ হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য শেষ ৬.৫ ওভারে ৬৭ রান দরকার ছিল দলটির। কিন্তু ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ওয়েন পারনেল ও ক্যাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে পড়ে ২০ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় শ্রীলঙ্কাকে।