জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। দেশটি বর্তমানে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল বা প্রতিরোধকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও ইজিস আধুনিক রাডার ব্যবস্থা সজ্জিত ডেস্ট্রয়ার, এবং ভূমি ভিত্তিক পাক-থ্রি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে থাকে। এগুলো উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে জাপানকে রক্ষার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত। ইজিস জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র বায়ুমণ্ডলের ওপরের, এবং ভূমি ভিত্তিক পাক-থ্রি ক্ষেপণাস্ত্র বায়ুমণ্ডলের মধ্যকার লক্ষ্যবস্তুকে গুলি করে ভূপাতিত করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুসংহত করতে মন্ত্রণালয় ‘ ইজিস অ্যাশোর’ নামে পরিচিত ইজিস ব্যবস্থার ভূমি ভিত্তিক সংস্করণ, এবং আধুনিক তাপ ভিত্তিক উচ্চতর এলাকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা থাড চালুর ক্ষেত্রে ব্যয় দক্ষতা সমীক্ষা করে দেখছে। এই ব্যবস্থা পাক-থ্রি’র চেয়ে উচ্চতর এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
মন্ত্রণালয় জানায়, বারবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তিগত অগ্রসরতার প্রেক্ষিতে দেশের প্রতিরক্ষা চাহিদা বিশ্লেষণের পর তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সূত্র: এনএইচকে ওয়ার্ল্ড বাংলা