দারুণ লড়াইয়ের ম্যাচে বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া প্রথম জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। দারুণ জয়টা ৫ উইকেটের। সেই সাথে আয়ারল্যান্ড সফর তারা শেষ করেছে জয় দিয়ে। এই সিরিজে আগেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেছে কিউইরা। টাইগাররা সেখানে রানার্স আপ। কিন্তু এই প্রতিপক্ষকে হারের তিক্ততা দিয়ে ‘সব ভালো তার শেষ ভালো যার’ প্রবাদে হাসিমাখা মুখে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ইংল্যান্ডের পথ ধরতে পারল টাইগাররা। আইসিসির নতুন র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৭ থেকে ৬ এ চলে আসলো এই জয়ে। শ্রীলঙ্কা পড়ল পেছনে।
এই ম্যাচে টস হেরে দারুণ শুরু ছিল নিউজিল্যান্ডের। তারা বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে লড়াইয়ে তাল মেলাতে পারেনি। এক পর্যায়ে তাই দিশেহারা হয়ে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে থেমেছে। আবার এক সময় ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের লক্ষ্য জয়ের পথে চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। বিপদ তখন। কিন্তু মুশফিকুর রহীম দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিলেন ব্যাট হাতে। শেষটায় মাহমুদউল্লাহও চাপ জয় করলেন। ৩ উইকেটে ২০৮ ছিল কিউইদের। পরে ছন্দ হারায়। কৃতিত্ব টাইগার বোলারদের। ১৯৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও জয়ের লক্ষ্য ঠিক রেখেই তা জয় করেছে টাইগাররা।
কৃতিত্ব ব্যাটসম্যানদের। আর কোনো উইকেট না হারিয়েই অসাধারণ জয়ের দেখা পেয়েছে। ৪৮.২ ওভারে ৫ উইকেটেই ২৭১ রান তুলে আনন্দে মেতেছে টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ দারুণ এক বাউন্ডারিতে ফিনিশিং দিয়েছেন। ৪৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় মুশফিক অপরাজিত ৪৫ রানে। আর মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড : ২৭০/৮ (ল্যাথাম ৮৪, ব্রুম ৬৩, টেলর ৬০*, অ্যান্ডারসন ২৪, প্যাটেল ৭*, নিশাম ৬, হেনরি ৫, রনকি ২, মুনরো ১, সান্টনার ০; সাকিব ২/৪১, নাসির ২/৪৭, মাশরাফি ২/৫২, মোস্তাফিজ ১/৪৬, রুবেল ১/৫৬, মোসাদ্দেক ০/১৪)।
বাংলাদেশ : ৪৮.২ ওভারে ২৭১/৫ (তামিম ৬৫, সৌম্য ০, সাব্বির ৬৫, মোসাদ্দেক ১০, মুশফিক অপরাজিত ৪৫, সাকিব ১৯, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৪৬। প্যাটেল ৫৫/২, স্যান্টনার ৫৩/১।
ফল : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।