বাংলাদেশের ৩২ যাত্রীসহ ৭১ আরোহী নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান নেপালে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে, নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন। এদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন বাংলাদেশি। জীবিত উদ্ধার করা ২০জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাঠমাণ্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দরে অবতরণের আগমুহূর্তে রানওয়ের পাশের একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এ দুর্ঘটনায় শোক জানিয়ে সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে আজই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেলিফোনে তিনি নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলার বোম্বাইডার ড্যাস-এইট কিউ-400 মডেলের বিমানটি। নেপালের স্থানীয় সময় ২টা ২০ নাগাদ ত্রিভূবন বিমানবন্দরে অবতরণের আগে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি।
তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলে অন্তত ২০ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিমানটিতে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ১৫ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩২ বাংলাদেশী। ছিলেন নেপাল, মালদ্বীপ ও চীনের নাগরিক। সৌভাগ্যবানদের একজন নেপালের বসন্ত বহোরা। নেপালের একটি ট্রাভেল সংস্থার হয়ে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন তিনিসহ ১৬ নেপালি।
ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছত্রী জানান, বিমাটি অবতরণের আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে দেয়া নির্দেশনার সাথে বিমানটি নিয়ে পাইলটের অবতরণের নিশানা ঠিক ছিলো না। অবশেষে তা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে পাশের মাঠে বিধ্বস্ত হয়। পাইলটের সাথে কন্ট্রোল টাওয়ারের শেষ মুহুর্তের কথোপকথনও সেদিকেই নির্দেশ করছে।
ইউএসবাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাদের এক্সপার্টরা শিগগিরই নেপাল যাবেন। উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্স। বাতিল হয়েছে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট। এই ঘটনার জেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র বাংলাভিশন