গেলবারও সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পুরোটা খেলতে পারেননি। এবারও টুর্নামেন্টটির শুরু থেকে থাকতে পারছেন না। এখন তারা ভারত সফরে। হায়দ্রাবাদে যেদিন টেস্ট শুরু সেদিন দুবাইয়ে শুরু পিএসএলের দ্বিতীয় আসর। তাতে ব্যাপারটা এই হচ্ছে যে, সাকিব ও তামিম এই টি-টুয়েন্টি ফ্রাঞ্চিইজি লিগের শুরু থেকে থাকতে পারছেন না। একই কথা মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রেও। তাদের দলও ব্যবস্থা নিয়েছে এসব হিসেব কষে। ৯ ফেব্রুয়ারি পিএসএল শুরু। ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত একমাত্র টেস্টটি শুরু। দেশের খেলা থাকলে অন্য কোথাও খেলার সুযোগ নেই। পেশোয়ার জালমির খেলোয়াড় দুই বন্ধু সাকিব ও তামিম। তারা দলের প্রথম তিনটি ম্যাচ মিস করছেন। আয়োজকরা হিসেব মিলিয়ে জানিয়েছে তা। টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই খেলা আছে পেশোয়ারের। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স দলে টেনেছে মাহমুদউল্লাহকে। এই অল রাউন্ডার মিস করবেন তার দলের প্রথম দুটি ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহকে অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যাড হজের জায়গায় দলে টেনেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি।
অবশ্য সাকিবেরও বিদেশি একজন রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে রেখেছে পেশোয়ার। তামিমের ব্যাপারে তেমনটা ঘটেনি। মার্চে আবার বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর। তার আগে অবশ্য ৫ মার্চ ফাইনাল পিএসএলের। তামিম-সাকিবের কিংবা মাহমুদউল্লাহর দল ফাইনালে উঠলে তাদের খেলা হবে কি না তাও অনিশ্চিত। কার্যণ, ফাইনালটি লাহোরে হওয়ার কথা। অনিরাপদ দেশ হিসেবে পাকিস্তানে ক্রিকেটাররা যান না। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাই পিএসএল। পিএসএলের প্রথম আসর বসল গতবার। আমিরাতেই। দল ফাইনালে উঠলে এক ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ১১ ম্যাচে খেলার সুযোগ ছিল। তামিম পেশায়ারের হয়ে ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ২৬৭ রান করে ফিরেছিলেন। তারপরও টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন তিনি। অল-রাউন্ডার সাকিব করাচি কিংসের হয়ে ৮ ম্যাচে ১২৬ রান করেছিলেন। উইকেট নিয়েছিলেন ৩টি। করাচির হয়ে ৩ ম্যাচ খেলে মুশফিকুর রহীম করেছিলেন ৪৯ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের দল ছিল। কিন্তু খেলেননি তিনি। এবার মুশফিক দল পাননি। মোস্তাফিজের খেলার সুযোগ নেই।