জাপানের ২০১৯-২০ অর্থবছরের খসড়া বাজেট অনুমোদন করেছে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মন্ত্রিসভা। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় কর্মসংস্থানের ত্রুটিপূর্ণ উপাত্ত প্রকাশ করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ খসড়া বাজেটে ৬৫ কোটি ইয়েন ব্যয় যুক্ত করা হয়েছে। খবর জাপান টাইমস।
ব্যয় পরিকল্পনা সংশোধন করার ফলে জাপান সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১০১ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন ইয়েনের রেকর্ড বাজেটে যুক্ত হলো কর্মসংস্থান পরিসংখ্যানের ক্ষতিপূরণের ব্যয়।
বাজেটের আগের খসড়াটি গত বছরের ডিসেম্বরে অনুমোদন করেছিল জাপানের মন্ত্রিসভা। এ খসড়াটি দেশটির ডায়েটের পরবর্তী অধিবেশনে দাখিল করার কথা ছিল। ২৮ জানুয়ারিতেই ডায়েটের পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেড় যুগ ধরে ভুল তথ্য প্রকাশের খবর প্রকাশিত হওয়ায় দেশটির বাজেট পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন পড়ে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানগত ত্রুটির কারণে বেকার ভাতাসহ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশটির দুই কোটির বেশি মানুষ। ত্রুটিপূর্ণ পরিসংখ্যানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশটির সরকার।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হওয়ার পর বাজেট পুনর্বিবেচনার দায়িত্ব পড়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী তারো আসোর ওপর। গত শুক্রবার তাকে দেখে বিধ্বস্ত মনে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার দিনের প্রথম ভাগে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরকারি পরিসংখ্যান হলো অর্থনৈতিক ও রাজস্ব নীতির ভিত্তি এবং তা অবশ্যই নির্ভুল হওয়া উচিত। কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান ভুল হওয়ার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক।