প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে জলবায়ুর জন্য হুমকিস্বরূপ জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ ২০৪১ সাল নাগাদ মোট জ্বালানির ৩৫ শতাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে একেবারেই সাংঘর্ষিক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশও এ রকম দ্বিমুখী জ্বালানি পরিকল্পনা করেছে।
বিশ্ব জলবায়ুর জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ এই দ্বিমুখী কয়লাভিত্তিক জ্বালানি নীতির প্রতিবাদে স্থানীয় বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন প্যারিসে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে।
বাংলাদেশি সংগঠন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফ্রান্স শাখা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছে।
গত রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত নব থেয়ার্ত দু মোনতাইয়ে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন জলবায়ুর পরিবর্তন শীর্ষক এক গণশুনানি আয়োজন করে। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফ্রান্স শাখা এই গণশুণানিতে অংশ নেয় এবং সুন্দরবনের ওপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
উক্ত আলোচনায় সুন্দরবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে এমন সব তৎপরতা বন্ধ করার জোর দাবি জানানো হয় এবং রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
জাতীয় কমিটির ফ্রান্স শাখার পক্ষ থেকে
প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন জাতীয় কমিটি ফ্রান্স শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম, সদস্য জুয়েল দাশ রায়, নিলয় সূত্রধর সুমন ও সারদা মণি রায় ছন্দা।
এছাড়া আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্যারিসের প্লেস দু পন্থেওন পার্কে ইউরোপীয় পরিবেশবাদীরা এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
ঢাকা।
সূত্র: প্রথম আলো।