বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফী প্রথমবারের মত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
নারী বৈমানিকদ্বয় জাতিসংঘ মিশন কঙ্গোতে যোগদানের উদ্দেশ্যে আগামী ৭ ডিসেম্বর ঢাকা ত্যাগ করবেন। তারা কঙ্গো শান্তি মিশনে এক বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন।
নারী বৈমানিকদ্বয় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যোগ্যতা ও মেধা সম্পন্ন যে কেউ সামরিক বাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় আসতে পারেন এবং এখানে মেধা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ২০০০ সালে সর্বপ্রথম সামরিক বাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন শাখার নারী কর্মকর্তারা বিমান বাহিনী ছাড়াও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রথমবারের মত দু’জন নারী বৈমানিককে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ দিয়েছে।
এই বৈমানিকদ্বয় বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে ৬৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করার পর পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালন করেন। তারা ২০৬ হেলিকপ্টার কনভারসন কোর্স, এমআই-১৭, এমআই-১৭১ এবং এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন।
নাইমা হক ও তামান্না-ই-লুৎফী দু’জনই পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশন্স উত্তরণে অপারেশনাল পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তারা ভারত থেকে এভিয়েশন মেডিসিন-এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
পেশাগত জীবনে বৈমানিক হিসেবে তাদের এই সাফল্য বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিমান উড্ডয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। তাদের পথ ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেকেই সামরিক বাহিনীর মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিয়োজিত হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে উৎসাহিত হবেন।
০৫ ডিসেম্বর ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ।
সূত্র: আরটিভিঅনলাইন.কম