ঢাকা ডেস্ক: ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিন এখন জ্বলছে। গত ৮ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত চালানো তাদের বিমান ও স্থল হামলায় নারী-শিশুসহ ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এর পরও হামলা অব্যাহত রাখার সদম্ভ ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর মধ্যে দিয়ে সর্বত্র মানবাধিকারের এই ফেরিওয়ালাদের ভন্ডামি উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের তেলস্বার্থ বজায় রাখতে আসলে তারা সাপও মরবে লাঠিও ভাংবেনা নীতি অনুসরণ করছে।
ইসরাইলের এই বর্বরোচিত হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় অব্যাহত। শিশুহত্যা, গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। জর্ডান, মিশর, ফরাসি যুদ্ধবন্ধে ইসরায়েলে কূটনৈতিক সফর করছেন। বিশ্ববাসীর এই একতরফা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বানকে গুরুত্ব না দিয়ে সেখানে সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনী, গোলবারুদ, যুদ্ধ প্রকৌশলীসহ নতুন করে ট্যাঙ্ক হামলা শুরু করেছে জায়নবাদী অপশক্তি। গাজায় ১৮ হাজার সেনা পাঠানোর অনুমিত দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আকাশ থেকে বিমান হামলা চালিয়ে এই সুড়ঙ্গপথ ধ্বংস করা সম্ভব নয় বলে এরা স্থলাভিযান শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী অভিযানের ধরন সম্পর্কে কিছু না বলেন তিনি বলেছেন, নিজ নাগরিকদের রক্ষা করতে ইসরাইলের এই অভিযানের কেনো বিকল্প নেই বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশ।
এই হামলায় তারা ফিলিস্তিনিদের যেমন অপহরণ করছে, ঠিক তেমনি ধ্বংস করছে বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি হাসপাতালগুলোতে হামলা চালাচ্ছে তারা। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র। সংস্থাটি ৩৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। আরো কতগুলো আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে হবে তা কেউ জানে না। আশ্রয়ের জন্য মানুষ ছুটছে দিগি¦দিক। ইসরায়েলি এই আগ্রাসন বন্ধে জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকাও অনুপস্থিত। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ ইসরায়েল বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে, যাকে অনেকেই যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করছে। ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশও।
এখন দরকার ২০১২ সালের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে বলবৎ করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। আর মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকার পাশাপশি যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ নীতির কোনো বিকল্প নেই। সোচ্চার হতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও।