ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আজ (১০-০৫-১৮) বিকালে টো
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন আইসিটি বাংলাদেশের অন্যতম গতিশীল খাত যা বাংলাদেশের উন্নয়নকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। রাষ্ট্রদূত আরো ব
রাষ্ট্রদূত বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার আইসিটি খাতে বিনিয়োগের উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছে এবং কর অবকাশ, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বিদ্যমান জাপান – বাংলাদেশ চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা তুলে ধরে রাবাব ফাতিমা দুই দেশের মধ্যে আরো গভীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে উঠার আশা প্রকাশ করেন। তিনি মিয়াজাকি-বাংলাদেশ মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে আইটি খাতে দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং বাংলাদেশ হাই টেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য জাপানি ব্যবসায়িদের প্রতি আহ্বান জানান।
জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি আইটি ব্যবসায়িদের দু’দেশের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসাবে কাজ করার অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠিত সেমিনারকেসময়োপযোগী মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত সেমিনারের সাফল্য কামনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জাপান আইটি উইক-২০১৮ এর সাথে সমন্বয় করে আয়োজন করা এই সেমিনারের উদ্যোক্তা ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও; আইসিটি বিভাগ; বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক অথরিটি এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতা করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস); জাইকা, জেট্রোও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইসিটি বিভাগ থেকে বাংলাদেশ হাই টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব হোসনে আরা বেগম; বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, জাপানের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর হাসান আরিফ, বেসিস থেকে তারেক ভুঁইয়া জুন, এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন প্রতিনিধি। মিয়াজাকি-বাংলাদেশ মডেল নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন জাইকার ইয়াশুইকো ইউগি।
বক্তারা বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন। আলোচকগণ দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশই হবে বিশ্বে আইটি খাতের পরবর্তী গন্তব্য। সেমিনারে জাপানের আইটি খাত সম্পর্কিত বিপুল সংখ্যক উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ি ও তাঁদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দু’দেশের ব্যবসায়ীগণ নেটওয়ার্কইং করে নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।