ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রেললাইনের মাধ্যমে অন্তত তিন পথে যুক্ত হচ্ছে ত্রিপুরা, অন্য আরেকটি পথের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আগরতলায় রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আগরতলায় রেলের চলমান ও ঝুলে থাকা বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ওই বৈঠকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও উপস্থিত ছিলেন।
গোহেন জানান, যে তিন পথে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ রেলপথ হচ্ছে তার একটি দিয়ে আখাউড়া হয়ে আগরতলা যাওয়া যাবে। এই রেলপথকে ‘এলিভেটেড রেলওয়ে লিংক’ বলা হচ্ছে। দ্বিতীয় রেলপথ হচ্ছে ফেনী হয়ে বেলোনিয়ার সঙ্গে। দুই এলাকার দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার হওয়ায় এই পথ দিয়ে সহজেই চট্টগ্রামের সঙ্গেও যুক্ত হওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন গোহেন। আর বাংলাদেশ-ত্রিপুরা তৃতীয় রেলপথ যাবে সাব্রুম হয়ে, যেখান থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। বেলোনিয়া-ফেনী রেল যোগাযোগ শুরু হলে তা নিকট ভবিষ্যতে ত্রিপুরাকে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভারতের এই প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার খোয়াই জেলা ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের মধ্যে আরেকটি ট্রান্স ন্যাশনাল রেল লিংক করা যায় কী না তার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। ত্রিপুরার গভর্নর তথাগত রায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাজ্যের রেল প্রকল্পগুলো আরও বিস্তৃত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও জানান গোহেন।
তিনি বলেন, “তারা কেন্দ্র থেকে এখানে রাজধানী এক্সপ্রেস চালুরও অনুরোধ জানিয়েছেন।”