১.
সাঁওতাল পাড়া থেকে
রাতের ঘন অন্ধকারে
আতসবাজি হয়ে
শব্দেরা সব ছুটে আসে,
‘রাস্তা হইল, ঘাট হইল, বাঙলা হইল না।’
শেষ চরণে হোপনা মান্ডি
চড়ায় গলা-
‘বাঙলা হইল না রে, বাঙলা হইল না।’
হাটশহরে দিঘির পাড়ে
বোষ্টুমি এক বসত করে,
মাটির ঘরে কুপি জ্বেলে
পাশের গাঁয়ের চেনা মোড়ল
লেপ্টে থাকে ওই শরীরে।
আঁধার আরও গভীর হলে
হাটশহরের দিঘির ধারে
সাঁওতাল সব একই স্বরে
হোপনা মান্ডির কণ্ঠ ছাড়ায়।
‘বাঙলা হইল না রে, বাঙলা হইল না’
২.
আজও চাঁদ ডুবে গেলে
সাঁওতাল পাড়া থেকে
ঢিল-খাওয়া বোলতার মতো
শব্দেরা তেড়ে আসে।
‘রাস্তা হইল, ঘাট হইল বাঙলা হইল না।’
তখন পাঁচঘর সাঁওতাল একস্বর হয়
হোপনা মান্ডি গলা চড়ায়-
‘বাঙলা হইল না রে, বাঙলা হইল না।’