স্টিভেন স্মিথ বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন। আর সেজন্য নিষিদ্ধ হলেন এক টেস্ট। পাশাপাশি তাকে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির পুরোটাই। মাঠে টেম্পারিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন যিনি, সেই ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
বল টেম্পারিং বিতর্কের পর ঘটনাবহুল এক দিনের ধারাবাহিকতায় এল এই সিদ্ধান্ত। রোববার আইসিসি যখন সিদ্ধান্তটি জানাল, স্মিথ তখন কেপ টাউনের ড্রেসিং রুমে, ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতেই জানানো হয়, টেস্টের বাকিটায় অধিনায়কত্ব ও সহ-অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বলেছিলেন, নেতৃত্ব থেকে স্মিথকে সরিয়ে দিতে।
কেপ টাউন টেস্টের তৃতীয় দিনে টিভি ফুটেজ থেকে টেম্পারিং বিতর্কের সূত্রপাত। টিভিতে ধরা পড়ে, পকেট থেকে হলুদ এক টুকরো কাপড়ের মতো কিছু বের করে বলে ঘষতে চেয়েছিলেন ব্যানক্রফট। পরে সেটি লুকিয়ে রাখেন ট্রাউজারের ভেতর।
দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন স্মিথ ও ব্যানক্রফট। স্মিথ জানান, দলের লিডরশিপ গ্রুপ মিলেই টেম্পারিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
যদিও তাদের চেষ্টা কাজে লাগেনি। বলের অবস্থা পরিবর্তন খুব একটা হয়নি। আম্পায়াররা বল দেখে সেই বলেই খেলা চালিয়ে যান। ৫ রানের তাৎক্ষনিক পেনাল্টিও দেননি। তবে টেম্পারিংয়ের চেষ্টার কারণেই হজম করতে হচ্ছে শাস্তি।
টেম্পারিংয়ের আগের উদাহরণগুলোর তুলনায় বেশ শক্ত শাস্তিই হজম করতে হচ্ছে স্মিথকে। খেলতে পারছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী পরের টেস্টে।