গণভোটে ইংল্যান্ডের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) না থাকার পক্ষে রায় দেওয়ার পর ইইউ নেতারা তাদের জোট থেকে দেশটিকে দ্রুত বিদায় দেওয়ার প্রস্ততি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবারের ঐতিহাসিক গণভোটের পর ইইউ নেতারা তাদের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য দেশের সঙ্গে ‘বিচ্ছেদ’-এর জন্য খুব দ্রুত একটি সভায় মিলিত হচ্ছে। ইইউ নেতারা মনে করছেন, অক্টোবর মাসে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করার বাস্তবতা নেই।
গণভোটে ইইউয়ে না থাকা বা লিভপন্থীরা ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। আর রিমেইনপন্থীরা পায় ৪৮ শতাংশ ভোট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের প্রথম সভাটি আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় সংস্থাটির ৪৩ বছরের অন্যতম অংশীদার ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধি রাখা হচ্ছে না। ইংল্যান্ডকে ইইউ থেকে দ্রুত বেরিয়ে যাবার দেন-দরবার করার দাবি জানিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর এই জোটটি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জেন ক্লাউডি বলেছেন, ‘বাকি ২৭ দেশ নিয়ে ইউনিয়ন স্বাভাবিকভাবে চলবে’। ব্রেক্সিট নামে কথিত এই ঘটনায় বিশ্ব পুঁজিবাজারে চরম ধস নামে। নাটকীয়ভাবে পাউন্ডের মূল্যমান কমে যায়। তবে ইংল্যান্ড ইইউ লিসবন আর্টিকেল-৫০-এর বিধি অনুযায়ী ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার দেনদরবার করতে আরও ২ বছর সময় পাবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঙ্কার বলেন, ব্রিটিশেরা গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই তাদের প্রস্থানের নামে দরকষাকষির জন্য অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো মানে নেই।