আবার নতুন করে নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছে ট্রাম্পপ্রশাসন। মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প জানান, নতুন এই আদেশ তার আগের করা আদেশকে আরো জোরালো করবে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান জন কেলি জানান, হোয়াইট হাউজ ট্রাম্পের করা আগের নির্বাহী আদেশের ব্যাপারে আরো কঠিন ও সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে কাজ করছে। ট্রাম্পের আগের আদেশে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের উপর ৯০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল। আদেশে সিরিয়ার শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত করার ক্ষেত্রেও ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নতুন এই আদেশে কি থাকবে তা নিয়ে জনগণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান জন কেলি জানিয়েছিলেন, নতুন এই আদেশে গ্রিনকার্ডধারী ও যাদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের বৈধ অনুমতি আছে তারা কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এমনকি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন কাজে ভ্রমণ করছেন তারাও এর বাইরে থাকবেন।
অ্যাসোসিয়েট প্রেস’র সিনিয়র এক সাংবাদিক জানান, নতুন এই আদেশ মূলত সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর টার্গেট করে করা। কিন্তু আদেশের অর্থ এই নয় যে, যখন সিরিয়ার শরণার্থীদের নতুন ভিসার প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন সীমান্ত রক্ষী সিরিয়ার শরণার্থীদের সে দেশের সীমান্ত থেকে বিতাড়িত করবে।
আগের নির্বাহী আদেশ অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছিল। বিভিন্ন বিমানবন্দর ও ট্রানজিট পয়েন্ট অনেক লোক আটকা পড়েছিল এবং অনেককে যেখান থেকে সে এসেছিল সেখানে জোরপূর্বক পাঠানো হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে মি. কেলি বলেন, ‘নতুন এই আদেশ অনুসারে যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যদেশে যাবে বিমানবন্দরে তাদের ধরা বা আটক করা হবে না, যেটা আগের আদেশে করা হয়েছিল। আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা খুব সতর্ক আছেন যাতে কোনো অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠতে না পারে।’
বিমানবন্দর, সীমান্ত পথ ও অ্যাম্বাসির কাজগুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান কেলি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সিয়েন স্পাইসার মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন এই আদেশ আগের আদেশের লক্ষগুলো যাতে সহজে অর্জিত হয় সেদিকে নজর রেখে করা হয়েছে। সেখানে আদালত এই বিষয়ে কি চায় সেটাতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট