যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে তার নতুন নির্বাহী আদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে ইরাকের নাম বাদ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা। চার মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এপি বার্তা সংস্থা জানায়, পেন্টাগন ও পররাষ্ট্রবিভাগের চাপের মুখে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খবরে বলা হয়, মূলত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণেই সে দেশের নাগরিকদের উপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করেছে পেন্টাগন ও পররাষ্ট্রবিভাগ। বুধবারই অভিবাসন নিয়ে একটি নতুন নির্বাহী আদেশ জারির কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার আগের নির্বাহী আদেশটি ফেডারেল আদালতের আটকে রেখেছে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরই এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সিরিয়া, সুদান ও সোমালিয়ার মতো সাতটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিক-সহ শরণার্থীদের ওপর সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাস ঠেকাতেই নিষেধাজ্ঞার যুক্তি দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার এ নির্দেশের পরই খোদ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব জুড়ে তীব্র আলোচনা সমালোচনা বিক্ষোভের ঝড় বয়ে যায়। পরে সিয়াটল আদালত সেই নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিলে ফের শরণার্থী ও মুসলিম অভিবাসীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের দ্বার খুলে যায়। খারিজ হয়ে যায় ট্রাম্পের যুক্তিও।