মুন্সীগঞ্জের তরুণ লেখক জুয়েল আহসান কামরুল । তিনি একাধারে সাংবাদিক,সাহিত্যিক ও সংগঠক। লেখালেখীতে খ্যাতি অর্জন করে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলার এই কৃতি সন্তান । মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের ছেলে- জুয়েল আহসান কামরুল । শৈশব ও কৈশোর কেটেছে তাঁর সেখানেই । কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার জন্যে থেকেছেন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাতে । ২৮ বছর ধরে জাপানে বসবাস করছেন । দেশে-বিদেশে অনেক সংগঠনের হয়ে দায়িত্বসহকারে কাজ করেছেন তিনি । দেশে থাকাকালীন ছাত্রজীবনে নিয়মিত আবৃত্তিচর্চায় স্বরশ্রুতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন । আশির দশকে ঢাকায় নাট্য আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক । ঢাকা নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন । জাপানে স্বরলিপি কালচারাল একাডেমীর সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন । তাঁর রচনা ও নির্দেশনায় অনেকগুলো নাটকের সফল মঞ্চায়ন করে স্বরলিপি । দেশে টেলিভিশন নাটকও লিখেছেন তিনি ।
জাপানে বেশ কতোগুলো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন জুয়েল । প্রবাসের দিনগুলোতে এখনো তিনি নিয়মিত কবিতা আবৃত্তি, উপস্থাপনা ও নানা ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনায় ব্যস্ত । বর্তমানে তিনি- মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর সোসাইটি জাপানের উপদেষ্টা । এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক-লেখক ফোরাম জাপানের সভাপতি ।
জাপানী চলচ্চিত্রে বছর তিনেকের মতো সহকারী পরিচালনার কাজ করেছেন । “ওয়েজ অফ লাইফ” নামক পরীক্ষামূলক একটি ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন তিনি । আজকাল জাপানের টেলিভিশনের অনুষ্ঠানেও তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে । তিনি বই লিখেছেন- “আমার সন্তানকে কোলে নিয়ে” (কবিতা), “ইম্পসিবল ইজ নাথিং” (গল্প), “এঞ্জেলার সান্নিধ্যে” (রোমান্টিক উপন্যাস), “সহস্র অন্ধকার পেরিয়ে” (মুক্তিযুদ্ধ ও এক গ্রাম্যকন্যার জীবনসংগ্রামের উপন্যাস), “দেশে বিদেশে” (জীবনের অভিজ্ঞতার গল্পকথা); বইগুলো প্রকাশিত হয়েছে- জাগৃতি ও বইপত্র প্রকাশন থেকে । ২০১৭ সালের একুশের গ্রন্থমেলায় এসেছে তাঁর নতুন উপন্যাস- “দুর্দম্য কৈশোর” । বইটির প্রকাশক- মাহবুবুর রহমান বাবু, পাওয়া যাবে একুশের গ্রন্থমেলায় সহোরাওয়ার্দী উদ্যানে বইপত্র প্রকাশনের স্টলে ।
তথ্যসূত্র: http://www.alokitomunshiganj.com/