রাজপুত নেতাদের অনুমতি না মিললে রাজস্থানে ছবির প্রদর্শন হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হলো রাজ্যের পক্ষ থেকে। পদ্মাবতী চরিত্রকে যেভাবে ছবিতে দেখানো হচ্ছে তাতেই আপত্তি ছিল কর্ণি সেনার। জয়পুর কেল্লায় সেটে শুটিং চলাকালীন চালানো হয় ভাঙচুর। এমনকী পরিচালককে থাপ্পড় মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। রানির বীরত্বকে রোমান্সের আলোয় দেখতে রাজি ছিলেন না রাজপুতরা। কিন্তু যেভাবে পরিচালকের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছিল তাতে ঝড় উঠেছিল নিন্দার।
যে পদ্মাবতীকে নিয়ে এত দাবি, তার অস্তিত্ব নিয়েও নড়াচড়া পড়েছিল। অনেক ইতিহাসবিদই পদ্মাবতী চরিত্রকে ঐতিহাসিক বলে স্বীকার করেন না। কবিকল্পনা থেকেই তার উদ্ভব বলে মনে করেন অনেকে। তবে বিতর্ক যায় থাক, বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন বানশালি। শেষমেশ পদ্মাবতী চরিত্রকে কোনোভাবে ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে না বলেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। যদিও সঞ্জয়ের পক্ষে বলতে গিয়ে অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালকরা জড়িয়ে পড়েন নিত্যনতুন বিতর্কে।
সে ঘটনার রেশ মাস দুয়েক পরও থেকে গেল। শনিবার রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজপুত নেতাদের অনুমতিতেই রাজ্যে মুক্তি পাবে ছবিটি। অর্থাৎ এখনও ছবি নিয়ে খানিক ধোঁয়াশা থেকেই গেল। ছবি মুক্তির পর এ নিয়ে বাড়তি জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
সূত্র: ইন্টারনেট