ভেনেজুয়েলার ২০ টন স্বর্ণ নিয়ে একটি বোয়িং বিমান রাশিয়া গেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির বিরোধী এক সদস্য। তবে রাশিয়া জানায়, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।
এর আগে রাশিয়ার বিমানটির অস্বাভাবিক ফ্লাইটটি ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে অবতরণ করে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি হয়।
অনেকের মতে, মাদুরোর কাছে ভাড়াটে সৈন্য পাঠানো হয়েছে, যারা তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। আবার অনেকেই মনে করছেন, মাদুরোর জন্য বিপুল স্বর্ণ বোঝাই করা হচ্ছে বিমানটিতে।
তবে টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় এক সদস্য টুইটার বার্তায় দাবি করেন, ২০ টন স্বর্ণ নিয়ে বিমানটি রাশিয়ায় ফেরত গেছে। এই স্বর্ণের পরিমাণ ভেনেজুয়েলার শেয়ারের ২০ শতাংশের সমান।
অন্তত ৪০০ যাত্রী বহনকারী বিশাল বোয়িং-৭৭৭ বিমানটি কারাকাসের বিমানবন্দরের ‘প্রাইভেট’এলাকায় অবস্থান করে। এর আগে সরাসরি মস্কো থেকে রওনা দিয়ে ফ্লাইটটি কারাকাসে অবতরণ করে।
নর্ডউইন্ড পরিচালিত বিমানটির ভেনেজুয়েলায় এটিই প্রথম ফ্লাইট। এর আগে এই রুটে কোনো সময় ভ্রমণ করেনি ফ্লাইটটি।
দেশটির এই আইনপ্রণেতা আরও বলেন, বিমানটি মস্কোতে পৌঁছার আগেই ওই পরিবহনের জন্য কার্গো প্রস্তুত ছিল বিমানবন্দরে। তবে এ ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রশাসন একে ভুয়া সংবাদ বলে আখ্যায়িত করেছে।
বিবিসিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া কখনো এমন কাজ করবে না। এর মাধ্যমে মূলত জনগণের মাঝে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় দেশ হিসেবে রাশিয়া ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে রাশিয়া দেশটির রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান চায়।
এদিকে দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদোর পুনর্নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস। তবে গুয়াইদোর এ দাবিকে ‘ব্ল্যাকমেল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনার জন্য গত বছরের শেষের দিকে বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জিতে আসলেও বিরোধী দল তাকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে দেশটি। আন্তর্জাতিক মহলের অধিকাংশ দেশ এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেওয়া গুয়াইদোকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টিরও বেশি দেশ। যদিও সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের সমর্থন নেই তার প্রতি।