মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচে রোববার টস ভাগ্য মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষেই ছিল। ব্যাটিং নিতে অবশ্য দেরি করেননি টাইগার ক্যাপ্টেন। দল ৫০ ওভারের শেষ বলে এসে অলআউট হয়ে তোলে ২৬৫ রান। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান ৫০ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২৫৮ রানে।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল মাশরাফির বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ শিবিরে রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন রহমত ও হাসমতউল্লাহ। হিসেবের ছক উল্টে দিয়ে লড়লেন দুজন। ভাগ্যটাও সঙ্গে থাকল তাদের। লড়াই চালিয়ে ৭০ রানে সাজঘরে প্রায় ফিরেই যাচ্ছিলেন হাসমত! ৪০তম ওভারে তাইজুল ইসলামের শেষ বলে ক্যাচ ভাসিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও পরের ওভারেই রহমতকে ফেরান সাকিব। ম্যাচেও ফেরে বাংলাদেশ। তবে হাসমত ছিলেন তখনো, সঙ্গে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। সাধ্যমতো লড়লেন তারাও। তবে ওই যে অভিজ্ঞতা, তারই মাশুল গুনে ফিনিশিংয়ের খুব কাছে গিয়েও হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারল না দলটি। তাইজুলের শিকার হাসমত পরে ফিরে যান ৭২ রানে।
এরপরই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নবীকে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতেন কঠিন দুঃসময় কাটিয়ে ফেরা তাসকিন। বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই ৫৯ রানে ৪ উইকেট তার। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি এবং সাকিব আল হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৬৫/১০ (তামিম ৮০, সৌম্য ০, ইমরুল ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ৬২, সাকিব ৪৮, তাইজুল ১১; জাদরান ৪/৭৩, নবী ২/৪০, রাশিদ ২/৩৭, নাভিন ১/৬২ ও আশরাফ ১/৫১)
আফগানিস্তান: ৫০ ওভারে ২৫৮/১০ (রহমত ৭১, হাসমতউল্লাহ ৭২, শাহজাদ ৩১, নবি ৩০; মাশরাফি ২/৪২, তাসকিন ৪/৫৯, সাকিব ২/২৬, রুবেল ১/৬২, তাইজুল ১/৪৪)
ফল: বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সাকিব আল হাসান