মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে নির্মম নির্যাতন, নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ, খুন ও ধর্ষণ চলেছে সেই পরিস্থিতির ওপর কোনো রকম প্রস্তাব না এনে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের মধ্যে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স রাজি না হওয়ায় রাখাইন পরিস্থিতির ওপর কোনো প্রস্তাব আনা যায় নি। যায় ফলে, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সর্বসম্মতিতে মিয়ানমারের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় মাত্র।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত ৬ নভেম্বর, সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে মিয়ানমারকে।
বিবৃতিতে, রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহার, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাখাইনে সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ যেন আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে, বেসামরিক প্রশাসন চালু করতে, আইনের শাসন শুরু করতে এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে যথাযথ বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
এ বছরের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর আউটপোস্টে সন্ত্রাসী হামলার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং ওই কারণে সেখান থেকে ৬ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনার পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দা ও চাপের মুখে পড়ে মিয়ানমার।
১২ নভেম্বর, ২০১৭
ঢাকা, বাংলাদেশ।
সূত্র: সিএনএন বাংলা