খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিন শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও স্লাইড শো অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম রফিজুল হক বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি সবচেয়ে মধুর এবং তা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন একটি শব্দও অনেক কিছুর পরিচয় বহন করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচার-আচারণ এমনকি শব্দচয়নও হতে হবে মার্জিত, পরিশিলীত ও শিক্ষণীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ববোধের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাজ পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা সমাপনীর পর তাদের উপর পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের সাফল্য অর্জনের উপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদেরকে সবসময় দেশের কথা স্মরণে রাখতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে বাংলাদেশ না হলে তারা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেতো না। তাই তিনি এ দেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের প্রতি, নেতৃত্বদানকারীদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সে চেতনায় এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। তিনি শিক্ষাসমাপনকারী ১৪ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কর্মময় জীবনের সাফল্য কামনা করেন। এর আগে উপাচার্য বিদায়ী ১৪ব্যাচের প্রত্যেক ডিসিপ্লিনের প্রতিনিধির কাছে ক্রেস্ট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তাদীর উল কাদের এবং সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় বিদায়ী ১৪ব্যাচের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেলের মুক্তমঞ্চে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট