কলম্বো টেস্টের আগে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, সাকিব আল হাসান সেই আগের বোলারটি নেই। ২০১০ সালে যেমন একাই প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিতেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। সেই বিধ্বংসী বোলারটি কোথায়? টাইগারদের কোচের কথায় ছিল এমনই হাহাকারই। তবে পি. সারা ওভালে নিজেদের শততম টেস্টে ব্যাট-বল দুই ভূমিকাতেই সফল সাকিব। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৪ উইকেট। আর এই ইনিংসের চার উইকেট নিয়ে সাকিব ঢুকে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের একটি অভিজাত পাতায়। যেখানে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের সফল বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সেরা পাঁচে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।
কলম্বো টেস্টে ছয় উইকেট নিয়ে সাকিবের উইকেট সংখ্যা এখন ১৭৬। ফলে ১৭৪ উইকেটে নিয়ে এই তালিকায় এতদিন পাঁচ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের টনি লকে জায়গাটা ছেড়ে দিতে হলো সাকিবের জন্য। লকের কীর্তিটি ছিল ৪৯ টেস্টে। সাকিব তাকে ছাড়িয়ে গেলেন সমান সংখ্যক টেস্টেই। সাকিব আবার বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারীও। সাকিব যে তালিকায় নাম লেখালেন কলম্বো টেস্টে সেই তালিকায় সবার উপরে আছেন শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। কলম্বোয় দ্বিতীয় ইনিংসে এখনো পর্যন্ত ২ উইকেট তার। টেস্ট ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে উইকেট এখন ৩৭২। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেনিয়েল ভেট্টরির শিকার ছিল ৩৬২ উইকেটে। ইংল্যান্ডের আন্ডারউড ডেরেক ২৯৭ উইকেট নিয়ে তিনে। চারে থাকা বিষেণ সিং বেদির উইকেট ২৬৬।