সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় ইতোপূর্বে দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন ফেডারেল আপিল আদালত। বৃহস্পতিবার নাইন্থ সার্কিট আপিল কোর্টের ওই আদেশের ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশে ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আপিল কোর্টের রায়ের পর এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হোয়াইট হাউজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রায়ের পর এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আদালতে দেখা হবে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে।’ এর আগে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল বিচারক স্থগিত করে রুল জারি করলে এর বিরুদ্ধে আপিল করে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। আপিলে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার আবেদন জানানো হলেও তা অগ্রাহ্য করে বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস ও বিচার বিভাগকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার কথা বলেন আপিল আদালত। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায় দেয় আপিল আদালত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে কে প্রবেশ করবে বা কে বের হবে সেটা নির্ধারণ করার এখতিয়ার প্রেসিডেন্ট রাখে- ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের কিছু সদস্য। এ প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর প্যাট্রিক লিহাই বলেন, ‘ট্রাম্পের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এক ধরনের সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে চাইছেন।’ ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম ১০ দিনে যতো নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার মামলা হয়েছে দেশজুড়ে।