কাঁধের পুরনো ব্যথাটা হয়তো ভোগান্তি দীর্ঘই করছে মুস্তাফিজুর রহমানের। প্রথম এমআরআই রিপোর্টে সুসংবাদ মেলেনি। দ্রুত সুসংবাদ মেলার সম্ভাবনাও নেই! সেজন্য কাটার মাস্টারের চলতি মৌসুমে আর সাসেক্স শার্কের হয়ে মাঠে নামা হচ্ছে না। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস। চোট নিয়ে প্রথম এমআরআই রিপোর্টের পরই সতর্ক পদক্ষেপ ফেলে বোর্ড। এরপরই এলো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য। জালাল ইউনুস জানান, ‘মুস্তাফিজ আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাকে নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। সার্বক্ষণিক যোগাযোগও ছিল সাসেক্সের সঙ্গে। এমআরআই রিপোর্ট দেখে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেছে, তাতে চলতি মৌসুমে বাকি থাকা কয়েকটি ম্যাচে মুস্তাফিজকে পাওয়া অসম্ভব। ভালো দিকটা বিবেচনা করে এখন তার খেলার চেয়ে চিকিৎসার দিকেই পুরো নজর দেওয়া হচ্ছে।’
রিপোর্ট নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচের অর্থোপেডিক সার্জন টনি কোচারের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করেছিলেন মুস্তাফিজ। তাতে বাম কাঁধের স্ল্যাপের পুরনো সমস্যাটাই ফিরে এসেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ অবস্থায় কেবল ব্যথানাশক নিয়েই ফিজের মাঠে নামা সম্ভব। সেটি কোনো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হবে না। আগে-পরে একদিন শল্যবিদের ছুরির নিচেই যেতে হবে ফিজকে। বিসিবি তাই লন্ডনেই ফিজের দ্রুত চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সম্পর্কে জালাল ইউনুস জানান, ‘আমরা আপাতত তাকে (মুস্তাফিজ) দেশে ফিরিয়ে আনছি না। সেখানেই তার দ্বিতীয় এমআরআই করানো হবে। তাতে যদি মনে হয় কেবল পুনর্বাসনেই তার উন্নতি হবে, তবে সেটিও সেখানেই হবে। অপারেশনের প্রয়োজন হলে লন্ডন থেকেই সেটি করিয়ে ফিরবেন মুস্তাফিজ।’
ফিজের কাঁধের সমস্যাটি সুপিরিয়র ল্যাব্রাম অ্যান্টেরিয়র অ্যান্ড পোস্টেরিয়র চোট নামে পরিচিত। একই সমস্যার কারণে আগেও মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে টাইগার পেসারকে। চোটের খবর শুনে বিসিবির পক্ষ থেকে মুস্তাফিজের ব্যাপারে সাসেক্সকে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল- তাকে ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে খেলানো যাবে না। তবে সেটি নিয়েও কথা তুলেছিল সাসেক্স। কিন্তু বিসিবি ব্যথানাশক দিয়ে খেলানোর সেই প্রস্তাবকে এক কথায় বাতিল করে দেয়। উল্লেখ্য, গত রোববার গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষের ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন করার সময় কাঁধে ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন মুস্তাফিজ। যে কারণে আর মাঠে নামা হয়নি এই তরুণ ক্রিকেটারের।