নতুন করে আবার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া ও পেন্টাগন সূত্রে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার উচ্চবেগে জাপান সমুদ্রে গিয়ে পতিত হয় বলে জানিয়েছে জাপানের জাতীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকে। জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইউশিহাইড শুগা জানান, ‘ক্ষেপনাস্ত্রটি জাপানের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক অঞ্চল সমুদ্রে আঘাত হেনেছে।’ মাত্র তিন সপ্তাহ আগে প্রথম আইসিবিএম পরীক্ষা চালিয়েছিল দেশটি। প্রথমটির তুলনায় এবারের ক্ষেপনাস্ত্রটি আরো অধিক কার্যকরী ও বেশি গতিবেগের। অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরণের দ্বিতীয় ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস বলেন, প্রাথমিক সূত্রগুলো থেকে দেখে যাচ্ছে যে সর্বশেষ পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এবং যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে যথেষ্ট কার্যকরী। ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার এবং শিকাগো এখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্রের সীমার মধ্যে আছে।
এদিকে এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জায়ে-ইন মধ্যরাতে এক জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন,’ এ ঘটনায় জাপানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি আরো গুরুতর ও বাস্তবিক হয়ে উঠেছে।’
পেন্টাগন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, ” যে কোন ধরণের আক্রমণের জন্য আমরা প্রস্তুত এবং আমাদের মিত্রদেরও প্রস্তুত রেখেছি। রাতে উ.কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বিরল এবং কেন এ সময়ে এ পরীক্ষা চালানো হল তা স্পষ্ট নয়। জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২০১৭ সালের মধ্যে এ নিয়ে ১৪ তম ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।