বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার ভোরে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২ নম্বর বাড়িতে যে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বুলেটবিদ্ধ হন সেখানে ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরব দাঁড়িয়ে থাকেন ও দোয়া পড়েন।
এরপর মন্ত্রিপরিষদ, আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর ত্যাগ করার পর সর্বস্তরের মানুষেরা সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে শায়িত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্য সদস্যদের এবং শেখ ফজলুল হক মনি ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন ও দোয়া করেন। পরে তিনি তার স্বজনদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর অপর কন্যা শেখ রেহানা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাঝারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারি সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গীপাড়া পৌঁছার কথা রয়েছে। টুঙ্গীপাড়া উপজেলা পরিষদ হেলিপ্যাডে পৌঁছে তিনি সরাসরি জাতির পিতার সমাধি কমপ্লেক্সে চলে যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তব অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন। এ উপলক্ষে তিন বাহিনীর একটি চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করবেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মাঝার প্রাঙ্গণে আয়োজিত মিলাদ এবং দোয়া মাহফিলেও যোগ দেবেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বিশ্বের ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডে সেদিন বঙ্গবন্ধু স্ত্রী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি কামালও শাহাদত বরণ করেন।